Posts

রমযানে সুস্থ থাকার পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ টিপস

রমযান প্রতিটি মুসলমানের জন্য একটি নিয়ামত আল্লাহর পক্ষ হতে। রমযান মানুষকে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতে্র শিক্ষা দেয়। এই মাসেই মহিমান্বিত আল কুরআন নাযিল হয়। সাহরি ও ইফতার, রমযানের একটি অন্যতম অংশ। প্রতিটি মুসলমান যেমন আল্লাহকে খুশি রাখার জন্য সারাদিন সমস্ত রকমের পানাহার থেকে মুক্ত থাকে তেমনি আল্লাহ্‌ও কিছু নিয়ম এর কথা বলে দিয়েছেন যাতে তার বান্দাদের রোজা রাখতে সহজ হয়। তো আসুন জেনে নেই তেমনি পাঁচটি শরিয়ত ভিত্তিক ও বিজ্ঞানসম্মত  টিপস যা অত্ত্যন্ত কার্যকরী হবে  । ১। প্রোটিন ও সুগার সমৃদ্ধ খাবার গ্রহনঃ   যেহেতু রোজার দিনে প্রায় ১১-১৩ ঘন্টা আমদের কিছু না খেয়ে কাটাতে হয় সেহেতু ইফতার অ সেহেরিতে প্রচুর প্রোটিন যুক্ত খাবার রাখা উচিত যেমন ঃ মাছ , ডিম , ডাল , মাংশ ,ইত্যাদি। আবার বিজ্ঞান বলে এই সময়ে আমাদের দেহে সুগার লেভেল কমে যায় এজন্য আমাদের চিনি বা চিনির সরবত বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত । ২। অতিরিক্ত খাবার গ্রহন করা পরিহারঃ অনেকে মনে করে থাকে সারাদিন তো খেতে পারছি না এজন্য সেহেরি তে অতিরিক্ত খাবার খেয়ে থেকে যে আসলে চরম বোকামি কারন এতে মারাত্নক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে যেমনঃ হার্টএটাক এর ঝুক

রোজা এবং চিকিৎসা ভাবনা - জেনে নিন ৮- মহামূল্যবান বিষয়

রোজা এবং চিকিৎসা ব্যাবস্থা যুগ যুগ ধরেই মানুষের চিন্তার বিষয়। কেননা এই বিষয়ে অনেকেরই ধারনা খুবই কম। অনেকে রোজা রাখতে চান ঔসুধ বাদ দিয়ে আবার অনেকে কি করবেন সিদ্ধান্ত নিতে ব্যার্থ হন। আর কি করলে রোজা ভাঙ্গে আর কি করলে ভাঙ্গে না এই বিষয়েও অনেকে জানে না।  এটা নিয়ে অনেক সময় খোদ ডাক্তাররাও বিভ্রান্তিতে পরে যান। আসুন জেনে নেই রোজায় কি কি চিকিৎসা নেওয়া যাবে আর কি যাবে নাঃ ১। রক্ত দেওয়া ও নেওয়াঃ  রোজার সময় রক্ত দেওয়া ও নেওয়া দুইটাই যায়েজ আছে। এতে রোজা ভাঙে না। ২। ইনহেলারঃ স্বাসকষ্টের রোগীদের ইনহেলার একটি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস। অনেকে ভাবে ইনহেলার নিলে রোজা ভেঙ্গে যায়, হ্যা এটা আগে মানা হতো কিন্তু আধুনিক ইসলামী ফিকাহ সংস্থ বলছে এনহেলার নেওয়া যাবে এতে রোজার বিন্দুমাত্র ক্ষতি হবে না। ৩।রোজায় দাঁত তোলা যাবে এবং সমস্ত রকমের ফিলিং করানো যাবে ।  ৪। রোজা রেখে পায়ুপথে  ধাত্রী আংগুল প্রবেশ করানো যাবে এমনকি জরায়ুর হিস্টোরোস্কপি ও আইইউসিডি  ইত্যাদিও ব্যাবহার করা যাবে। ৫। ত্বক ,শিরা্‌, এমনকি হাড়ের  জোড়ায় ঔসুধ ইনজেকশন দিয়ে পুশ করালেও রোজা ভাঙবে না  কিন্তু খাদ্য উপাদান হলে রোজা ভাঙবে । ৬। হার্ট বা

রসুনের উপকারিতা ও জীবন রক্ষাকারী প্রতিষেধক

একের মধ্যে শত। একটা জিনিসের হাজারো গুন, হ্যা কথাটি একটা জিনিসের সাথেই মানায়, বলছি "রসুন" এর কথা। সেই আদিম যুগ থেকে আজ পর্যন্ত রসুন বিভিন্ন রোগের মহাঔসুধ হিসেবে ব্যাবহার হয়ে আসছে। বলা হয়ে থকে প্রায় সব রোগের চিকিৎসাই রসুন মধ্যে রয়েছে।আমাদের মহানবী (সাঃ) ও রসুন এর উপকারিতা এর কথা বলেছেন এবং সাহাবীদের রসুন খেতে বলেছেন।মাত্র এক কোয়া রসুনের যে গুনাগুন তা আসলে বলে শেষ করা কঠিন। রসুনকে প্রকৃতিক প্রতিষেধক ও বলা হয়। চলুন জেনে নেই রসুনের তেমনি কিছু জীবন রক্ষাকারী গুনাগুন এর কথা যেটা আসলে সত্যি বিস্ময়কর। ১। প্রাচীনকাল থেকেই প্রাকৃতিক প্রতিষেধক হিসাবে রসুনের জুরি নেই। আঘাতের ক্ষত সারানোর কাজে রসুনের ব্যাবহার লক্ষ্য করা যায়। এছাড়াও ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ফাঙ্গাস, ইত্যাদি জিনিসের আক্রমন থেকেও মুক্তি পাওয়া যায় রসুন থেকে। ২। যৌনশক্তি বর্ধক হিসেবে প্রথমেই যে নামটি সবার উপরে আসে সেটি রসুন।সকাল বেলা প্রতিদিন ১-৩ কোয়া রসুন চিবিয়ে একগ্লাস পানি খেলে যৌনশক্তি বৃদ্ধি পায়। এটা দু-তিন মাস নিয়মিত করলে বীর্য ঘন হয় অকল্পনীয় হারে । ৩।এছাড়াও অনেক রোগ যেমন ক্যান্সার সেল নির্মূলে, ডায়াবেটিকস রোগীদের জন্যও