রসুনের উপকারিতা ও জীবন রক্ষাকারী প্রতিষেধক

একের মধ্যে শত। একটা জিনিসের হাজারো গুন, হ্যা কথাটি একটা জিনিসের সাথেই মানায়, বলছি "রসুন" এর কথা।
সেই আদিম যুগ থেকে আজ পর্যন্ত রসুন বিভিন্ন রোগের মহাঔসুধ হিসেবে ব্যাবহার হয়ে আসছে। বলা হয়ে থকে প্রায় সব রোগের চিকিৎসাই রসুন মধ্যে রয়েছে।আমাদের মহানবী (সাঃ) ও রসুন এর উপকারিতা এর কথা বলেছেন এবং সাহাবীদের রসুন খেতে বলেছেন।মাত্র এক কোয়া রসুনের যে গুনাগুন তা আসলে বলে শেষ করা কঠিন। রসুনকে প্রকৃতিক প্রতিষেধক ও বলা হয়। চলুন জেনে নেই রসুনের তেমনি কিছু জীবন রক্ষাকারী গুনাগুন এর কথা যেটা আসলে সত্যি বিস্ময়কর।
১। প্রাচীনকাল থেকেই প্রাকৃতিক প্রতিষেধক হিসাবে রসুনের জুরি নেই। আঘাতের ক্ষত সারানোর কাজে রসুনের ব্যাবহার লক্ষ্য করা যায়। এছাড়াও ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ফাঙ্গাস, ইত্যাদি জিনিসের আক্রমন থেকেও মুক্তি পাওয়া যায় রসুন থেকে।
২। যৌনশক্তি বর্ধক হিসেবে প্রথমেই যে নামটি সবার উপরে আসে সেটি রসুন।সকাল বেলা প্রতিদিন ১-৩ কোয়া রসুন চিবিয়ে একগ্লাস পানি খেলে যৌনশক্তি বৃদ্ধি পায়। এটা দু-তিন মাস নিয়মিত করলে বীর্য ঘন হয় অকল্পনীয় হারে ।

৩।এছাড়াও অনেক রোগ যেমন ক্যান্সার সেল নির্মূলে, ডায়াবেটিকস রোগীদের জন্যও এটা প্রচুর উপকারী।পেটের ফুড পয়জনিং, আলসার ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধ এর কাজে অনেক আগে থেকেই রসুন এর ব্যাবহার হয়ে আসছে।

৪। শরীরের বাত সারাতেও রসুন এর ব্যাবহার আছে। গিট সারাতেও কাজে লাগে।
 ৫। যৌবন ধরে রাখার একটি প্রধান অস্ত্র হলো প্রতিদিন সকালে ২-৩ কোয়া রসুন চিবিবে খাওয়া খালি  পেটে ।
এর সাথে এক চা চামচ মধু হলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। তারপর এক গ্লাস ঠান্ডা পানি। যাদের চেহারায় বয়সের ছাপ পড়ে গেছে তারা এর মাধ্যমে ভালো ফলাফল পাবেন। যাদের চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে গেছে তারাও এটা থেকে উপকার পাবেন।

৬।রক্তে কোলেস্টেরল এর পরিমান কমাতে রসুন গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে । এতে করে হার্ট এর প্রবলেম থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। আমরা যারা তেল জাতীয় খাবার খাতে ভয় পাই, যাদের শরীরে মেদ জমে গেছে তারা রসুনকে সেরা পথ্য হিসাবে নিতে পারি।

Comments

Popular posts from this blog

রোজা এবং চিকিৎসা ভাবনা - জেনে নিন ৮- মহামূল্যবান বিষয়

রমযানে সুস্থ থাকার পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ টিপস